বাকৃবিতে ইয়াসের এশিয়া প্যাসিফিক সায়েন্টিফিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত
আপডেট সময় :
২০২৫-০৫-৩১ ০০:৩৩:৩১
বাকৃবিতে ইয়াসের এশিয়া প্যাসিফিক সায়েন্টিফিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত
বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়াস এশিয়া প্যাসিফিক সায়েন্টিফিক ইভেন্ট-২০২৫। 'স্মার্ট কৃষি অনুশীলনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন' - প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই বৈজ্ঞানিক ইভেন্টের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ইন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (ইয়াস বাংলাদেশ)- এর বাকৃবি শাখা। ৩০ মে (শুক্রবার) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই বৈজ্ঞানিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজিত টেকনিক্যাল সেশনে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, পরিবেশ ও গবেষণাবিষয়ক পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। টেকনিক্যাল সেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক এবং ইয়াস বাংলাদেশ বাকৃবি শাখার প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. জুলফিকার রহমান।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্মার্ট কৃষি বিষয়ক গবেষণার মৌলিক ধারণা, বিভিন্ন ধরনের গবেষণা পদ্ধতি এবং গবেষণার ফলাফল কীভাবে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার রহমান। এসময় ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার হলো এমন একটি কৃষি পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির একটি সেট যা একই সাথে উৎপাদনশীলতা বাড়ায় ও গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার নিয়ে গবেষণা, এর গুরুত্ব ও প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ, যিনি বাংলাদেশের টেকসই মৎস্যচাষে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কৌশল নিয়ে কথা বলেন। এগ্রোফরেস্ট্রি ও কার্বন ধারণ বিষয়ে আলোচনা করেন এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম। ধানচাষ ব্যবস্থায় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং মৃত্তিকায় কার্বন ধারণ নিয়ে আলোচনা করেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর। এছাড়াও চরম জলবায়ুগত ঘটনাসমূহ ও স্মার্ট পদ্ধতিতে প্রতিকারমূলক কৌশল নিয়ে বক্তব্য দেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ। প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা শেষে মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়।
টেকনিক্যাল সেশন শেষে পোস্টার উপস্থাপনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যেখানে মোট ১৯ টি পোস্টার উপস্থাপনা করা হয়। এরপর তাৎক্ষণিক পোস্টার তৈরি ও উপস্থাপনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে স্মার্ট কৃষির নানা ধারণা পোস্টারের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। অংশগ্রহণকারী চারটি দলের মধ্যে সেরা পোস্টার উপস্থাপনাকারী দল 'টিম অগ্রযাত্রা' কে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া দুটি পর্বেই অংশগ্রহণকারী সকলকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। পুরষ্কার বিতরনী শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গবেষণাগার পরিদর্শন করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা, সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স